রমনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় প্রথম আলোর সাংবাদিক শামছুজ্জামান শামসকে সিএমএম আদালতে নেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় তাকে ঢাকার মূখ্য মহানগর হাকিম আদালতে নেয়া হয়। বর্তমানে তাকে আদালতের গারদ খানায় রাখা হয়েছে। তবে পুলিশ জানিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের পক্ষ থেকে কোনো রিমান্ড আবেদন করা হবে না।
এর আগে উদ্দেশ্যমূলক নেতিবাচক সংবাদ প্রকাশের দায়ে দৈনিক প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, প্রথম আলোর সাভারের নিজস্ব প্রতিবেদন শামসুজ্জামান শামস, সহযোগী ক্যামেরাম্যানসহ অজ্ঞাতদের আসামি করে রমনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে।
বুধবার গভীর রাতে রমনা থানায় এ মামলাটি দায়ের করেছেন আইনজীবী আবদুল মালেক (মশিউর মালেক)। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে রমনা থানার পরিদর্শক আবু আনছারকে।
এর আগে একই অভিযোগে তেজগাঁও থানার মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে প্রথম আলোর প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামসকে।
মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, ২৬শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসে দৈনিক প্রথম আলোর ওয়েবসাইটে একটি ছবিসহ সংবাদ প্রকাশ করে। একই সঙ্গে সংবাদটি দৈনিক প্রথম আলো তাদের ফেসবুক পেজে শেয়ার করে। সংবাদটিতে দেখা যায়, একটি শিশু ফুল হাতে জাতীয় স্মৃতিসৌধের ফটকে দাঁড়িয়ে আছে। প্রতিবেদকের দাবি, ওই শিশুটির নাম জাকির হোসেন। পত্রিকার প্রতিবেদনে উলেখ করা হয়, শিশু জাকির হোসেন বলে- ‘পেটে ভাত না জুটলে স্বাধীনতা দিয়া কী করুম। বাজারে গেলে ঘাম ছুটে যায়। আমাগো মাছ, মাংস আর চাইলের স্বাধীনতা লাগবো।’
এজাহারে আরও বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সংবাদটি ভাইরাল হয়ে যায়। সংবাদটি দেশ ও বিদেশে অবস্থানরত হাজার হাজার মানুষ তাদের ব্যবহৃত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ক্রিনশটসহ শেয়ার করেন। এই ঘটনায় বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা দিবসে বাংলাদেশের সোনালি গৌরবোজ্জ্বল ভাবমূর্তি নিয়ে বাংলাদেশের জনগণসহ বহির্বিশ্বে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। মহান স্বাধীনতা দিবসের দিনে এই সংবাদ প্রকাশ করায় বিশ্বব্যাপী দেশের ভাবমূর্তি ও স্বাধীনতার অর্জন নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।